এবিএনএ : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যানজট নিরসনে সরকার গাড়ির ব্যবহার সীমিত করার প্রস্তাব রেখে একটি আইন করার চিন্তা-ভাবনা করছে। পরিবারপ্রতি গাড়ির সংখ্যা নির্ধারণের বিষয়টি প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় সংযোজন করা হবে। আইনটি হলে যানজট নিরসনে রাজধানীর রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়িও নিয়ন্ত্রণে আসবে। আজ রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৬ এর খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে পরিবহন খাতসংশ্লিষ্ট সকল স্টেক-হোল্ডারদের নিয়ে দিনব্যাপী জাতীয় কর্মশালা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কর্মশালায় পরিবারপ্রতি গাড়ির সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য সড়ক পরিবহন আইন-২০১৬র খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করে প্রস্তাবসমূহ চূড়ান্ত করা হবে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্ব করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেওয়া সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছে তার সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেছেন, ওই সংস্থা বলেছে প্রতিদিন বাংলাদেশে ৫৯ জন হিসেবে বছরে ২১ হাজার ২৪০ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এ তথ্য সঠিক নয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশ করার কঠোর সমালোচনা করেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, আমি সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে চাই। পরিবহন সেক্টরে একটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চাই। আইন করে কিছুই হবে না, যদি আমরা যথাযথ আইন মান্য না করি। মন্ত্রীর খবরদারির জন্য আইন চাই না। জনগণের জন্য আইন চাই। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সড়ক পরিবহন ও ট্রাফিক আইন নামে খসড়ায় ২২টি অধ্যায় ও ৩৭২টি ধারা ছিল। ২০১৩ সালে গঠিত কমিটি তা কমিয়ে ১৫ অধ্যায় ও ২৪২টি ধারায় চূড়ান্ত করে। সর্বশেষ খসড়ায় আইনটিকে ১৩টি অধ্যায় ও ৬৩ ধারায় নামিয়ে আনা হয়েছে।